তেলের দাম আরও কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটরি (ডব্লিউটিআই) জ্বালানি তেলের দাম এই বছরের জানুয়ারি থেকে তার সর্বনিম্ন মূল্যে নেমে এসেছে।
অপরিশোধিত তেলের দাম সোমবার থেকে পতন শুরু করেছে। চীনের হতাশাজনক অর্থনৈতিক তথ্য-উপাত্তে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের হার কমিয়েছে।
মঙ্গলবার ডব্লিউটিআই জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৬ দশমিক ১৩ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে, এ দিন দাম ৩ দশমিক ২৮ ডলার বা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে।
ইউরোপভিত্তিক ব্রেন্ট ক্রুড জ্বালানি তেলের দাম এ দিন ২ দশমিক ৯৮ ডলার বা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি দাঁড়িয়েছে ৯২ দশমিক ১২ ডলার, যা এই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন দাম।
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক মাস ধরে অপরিশোধিত তেলের দাম পতনের কারণে গ্যাসোলিন অর্থাৎ পরিশোধিত তেল বা পেট্রোলের দাম কমছে।
যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার পেট্রলের দাম গ্যালন প্রতি গড়ে ৩ দশমিক ৯৫ ডলারে নেমেছে৷ গত মাসে দেশটির পেট্রোলের দাম ৬০ সেন্ট কমেছে। তবে তা এখনও গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৭৬ সেন্ট বেশি।
মঙ্গলবার ইরানের পরমাণু চুক্তিকে ঘিরে আলোচনা প্রক্রিয়া এবং জ্বালানি তেলের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা এবং বৃহত্তম তেল আমদানিকারক চীনের হতাশাজনক তথ্য আরও বেড়ে যাওয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তেলের দাম কমে যায়।
সময়সীমা শেষ হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে ইরান ‘চূড়ান্ত’ পারমাণবিক চুক্তি সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তাদের লিখিত প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছে।
চিঠিতে ইরান জানিয়েছে, দেশটি একটি চুক্তি সুরক্ষিত করার কাছাকাছি ছিল, যদিও কয়েকটি বিষয় স্থির করার প্রয়োজন ছিল। এরমধ্যে প্রধানত, যুক্তরাষ্ট্রকে গ্যারান্টি দিতে হবে-ভবিষ্যতে মার্কিন রাষ্ট্রপতিরা চুক্তিটি পরিবর্তন করতে পারবেন না।
বর্তমান অপরিশোধিত তেলের মৌলিক বিষয়গুলোর ভিত্তিতে বাজারকে আরও সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাজারের আশঙ্কা ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে দেশটি প্রতিদিন কয়েক হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বাজারে আনতে পারে। ইরান জানিয়েছে, তারা কয়েক মাসের মধ্যে তেলের উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়াতে পারে। সূত্র : ওয়েলপ্রাইস.কম